নিজস্ব প্রতিবেদক
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আনন্দোৎসবের সাথে উদযাপিত হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে বৃহৎ উৎসব বড় দিন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সূচনা হয়।

বড়দিনের সবচেয়ে জমকালো উদযাপন হয়ে থাকে তারকা হোটেলগুলোতে। হোটেলগুলো সাজে বর্ণিল সাজে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে হোটেল সায়মন, সীগাল, ওশান প্যারাডাইস, লংবীচ, কক্সটুডে, রামাদাসহ বিভিন্ন হোটেল দেখা যায়, ঝলমলে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে। শোভা পাচ্ছে গিফট বক্স, ঝলমলে আলোকসজ্জাসহ বড়দিনের নানা অনুষঙ্গ। শিশুদের জন্যে ছিল বিশেষ আয়োজন।

সায়মনের কর্মকর্তা সারোয়ার আলম বলেন, বড় দিনে প্রতি বছরের ন্যায় সায়মনে এবারও বিশেষ আয়োজন করা হয়। বর্ণিল রূপে সাজানো হয় হোটেলকে। পর্যটকদের নজর কাঁড়ছে ক্রিসমাস ট্রি ও শিশুদের উপহার সামগ্রী।

চার্চে প্রার্থনায় যিশুর মহিমাকীর্তন এবং ইউক্রেন-রাশিয়া, ইসরাইল-ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ সারাবিশ্বের সব যুদ্ধ বন্ধ ও বিশ্বশান্তি কামনা করা হয়।

পাশাপাশি পরিবর্তিত বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নতি কামনায় প্রার্থনা করা হয়। শান্তি ও ন্যায়ের কথা বলা হয়।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, হিংসা-বিদ্বেষ, অন্যায়-অত্যাচার ও পাপাচারে নিমজ্জিত মানুষকে সুপথে আনার জন্যই যিশু আবির্ভূত হয়েছিলেন। এরপর থেকে আমৃত্যু আর্তমানবতার সেবা, ত্যাগ ও শান্তির আদর্শ প্রচার করে গেছেন। হিংসা-দ্বেষ ভুলে তিনি সবাইকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাই মানবতার বন্ধনে আবদ্ধের আমন্ত্রণের দিন হিসেবে দেখা হয় বড়দিন বা মেরি ক্রিসমাসকে।